Blog

আজওয়া খেজুর-শরীরের ক্লান্তিভাব দূর করে

আজওয়া খেজুর খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শরীরের ক্লান্তিভাব দূর হয়। এটি স্নায়বিক শক্তি বৃদ্ধি করে। ভিটামিন-এ সমৃদ্ধ এই খেজুর দৃষ্টিশক্তির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় খেজুর। উচ্চ মাত্রার শর্করা, ক্যালরি ও ফ্যাট সম্পন্ন আজওয়া খেজুর জ্বর, মূত্রথলির ইনফেকশন, যৌ’ন’রোগ, গনোরিয়া, কণ্ঠনালির ব্যথা বা ঠাণ্ডাজনিত সমস্যা, শ্বাসকষ্ট প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী। এটি অত্যন্ত সুস্বাদু ও বেশ পরিচিত একটি ফল যা ফ্রুকটোজ এবং গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ।

এটি খুবই মিষ্টি এবং খুবই সফট একটি খেজুর। আজওয়া খেজুর হলো প্রাকৃতিক স্ন্যাকস। হালকা নাশতা হিসেবে এটি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই কার্যকরী। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি খেজুর। সরাসরি সৌদি আরব থেকে আমদানিকৃত রকমারি ফুড এর আজওয়া খেজুর সুস্বাদু ও স্বাস্থ্যকর। প্রিয় নবী (সা.) নিজেই আজওয়া খেজুরের বীজ রোপণ করেছিলেন। এটি বিশেষভাবে বরকতময়। প্রিয় নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি প্রতিদিন সকালে কয়েকটি এই খুরমা খাবে ওই দিন রাত পর্যন্ত কোনো বিষ ও জাদু তার কোনো ক্ষতি করবে না।’

এই খেজুরে আছে দেহের জন্য প্রয়োজনীয় শর্করা, আমিষ, প্রোটিন, স্বাস্থ্যসম্মত ফ্যাট। এছাড়াও রয়েছে খাদ্য আঁশ, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি৬, ভিটামিন-সি ও ভিটামিন-কে। এতে আরও আছে ক্যারোটিন, যা চোখের জন্য উপকারী। তাছাড়া এতে রয়েছে ফলেট, নিয়াসিন, থিয়ামিন ও রিবোফ্লেভিন এর মতো উপাদান যারা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই খেজুরের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, গ্লুকোজ, ম্যাগনেশিয়াম ও সুক্রোজ।

ব্যায়াম করার কমপক্ষে আধা ঘন্টা আগে খেলে দেহে সহজে ক্লান্তি আসে না, পাশাপাশি পেট থেকে দূষিত পদার্থও বেরিয়ে যায়। আবার সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখেও খেতে পারেন এই আজওয়া খেজুর। সারা রাত পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। ঘুমানোর আগেও আজওয়া খেজুর খেতে পারবেন। দুধের সাথে মিশিয়েও এটি খেতে পারেন, এটি একটি উপাদেয় খাদ্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *