Description
আম্রপালি (Amrupali Mango) আমের নাম কে না শুনেছে! ফলের রাজা আমের বিভিন্ন প্রকারভেদ এর মধ্যে পাহাড়ি আম্রপালি একটি। আকারে ছোট হলেও স্বাদে এই আম ছাড়িয়ে গেছে অন্য অনেক আমকে। পাহাড়ি ফলের কথা বললে আর যাই হোক আমের কথা সচরাচর মাথায় না আসলেও পাহাড়ি অঞ্চলও আমের মৌসুমে মেতে উঠে এক রসালো মিষ্টি আম নিয়ে।
কড়া মিষ্টি স্বাদের আঁশহীন রসালো এই আম উৎপাদন হয়ে থাকে পাহাড়ি অঞ্চল তথা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এলাকায়।
আম্রপালি এখন দেশের সবচেয়ে বেশি উৎপাদিত আম। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে রপ্তানিতেও শীর্ষে এই জাতের আম। দেশে গত এক দশকে সবচেয়ে দ্রুতগতিতে বাগান বেড়েছে আম্রপালির। আম্রপালি দুই জাতের রয়েছে। একটির গড়ন ছোট অপরটি তুলনামূলক বড়। আমটি কেটে খাওয়ার উপযোগী। এক কেজিতে ৬-৮ টা আম ধরে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৩ লাখ ৫০ হাজার মেট্রিক টন Amrupali Mango উৎপাদিত হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬ লাখ মেট্রিক টন আম্রপালি জাতের, যা দেশের ৬৪টি জেলায় উৎপাদিত হচ্ছে। তবে নওগাঁ, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই চারটি জেলা সবচেয়ে বেশি চাষ হচ্ছে। রাঙ্গামাটির কাপ্তাই উপজেলার আম চাষি মাউইলিয়ানা পাংখুয়া জানান, ‘আমি ২০১২ সালে আম চাষ শুরু করি। শুরুতে রাঙ্গুই জাতের আম চাষ শুরু করি। কিন্তু, ৩ বছর পর রাঙ্গুই আমের দাম উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যায়।’
আম বিভিন্ন জাতের পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে আলফোনসো, আম্রপালি, হিমসাগর, ল্যাংড়া ইত্যাদি। পাকা আম ভিটামিন ‘এ’সমৃদ্ধ। আমের আয়রন, আঁশ, পটাশিয়াম, ভিটামিন সি ও খনিজ উপাদান শরীর সুস্থ–সবল রাখতে সাহায্য করে। ক্যারোটিন চোখ সুস্থ রাখে, সর্দি-কাশি দূর করে। চলুন জেনে নেই আম্রপালি আম খাওয়ার উপকারিতা
- আম (Amrupali Mango) কে বলা হয় ফলের রাজা। কেবল স্বাদে মিষ্টি বা ত্বককে ভালো রাখাই নয়, এর মধ্যে রয়েছে এমন অনেক পুষ্টিগুণ যা শরীরকে ভালো রাখে। সারা বিশ্বে প্রায় এক হাজার প্রজাতির আম রয়েছে। প্রায় সাড়ে চার হাজার বছর আগে হিমালয়ের আশপাশের সমতলভূমিতে এ ফলটি আবিষ্কৃত হয়েছিল।
- আম রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেলের মাত্রা কমায়। ডায়াবেটিসের সঙ্গে লড়াই করে। ক্যানসার কোষকে মেরে ফেলতে সাহায্য করে।
আমে রয়েছে উচ্চ পরিমাণ প্রোটিন যা জীবাণু থেকে দেহকে সুরক্ষা দেয়। - ক্লিনজার হিসেবে ত্বকের উপরিভাগে কাঁচা এবং পাকা আম ব্যবহার করা যায়। আম লোমকূপ পরিষ্কার করে এবং ব্রণ দূর করে। বার্ধক্যের ছাপ রোধে আমের রস বেশ কার্যকরী। কাঁচা আমের রস, রোদে পোড়া দাগ দূর করতে সাহায্য করে। আমে রয়েছে ভিটামিন এ, যা দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে। চোখের চারপাশের শুষ্কভাবও দূর করে।
- ওজন কমাতে চাইলে কাঁচা আম খেতে পারেন। এটি পাকা আমের থেকে অনেক ভালো। কেননা পাকা আমে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে।
- কাঁচা আম দেহের শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, দুপুরে খাওয়ার পর কাঁচা আম খেলে বিকেলের তন্দ্রাভাব কাটে।
- লিভারের সমস্যায় কাঁচা আম খাওয়া উপকারী। এটি বাইল এসিড নিঃসরণ বাড়ায় এবং অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়াকে পরিষ্কার করে। দেহে নতুন রক্ত তৈরি করতে সাহায্য করে আম।
- খনিজ পদার্থ আয়রনের ভালো উৎস আম। অ্যানিমিয়া আক্রান্ত রোগীদের জন্য ভালো ওষুধ হিসেবে কাজ করে আম।
সন্তানসম্ভবা নারী এবং মেনোপোজ হওয়া নারীর আয়রনের ঘাটতি পূরণে আম বেশি উপকারী। - কাঁচা আম কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য খেতে পারেন। কাঁচা আম মধু দিয়ে খাওয়া পেটের কষাভাব দূর করতে সাহায্য করে। আয়রন ও সোডিয়ামের ঘাটতি পূরণে বেশ কার্যকরী আম।
- কাঁচা আম মাড়ির জন্য ভালো। দাঁতের ক্ষয় এবং রক্তপাত রোধ করে। এটি রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়ায়। আম পুরুষের শুক্রাণুর গুণগত মানকে ভালো রাখে।
তবে জানেন কি, কিছু খাবার আছে, যা আম খাওয়ার পর কখনোই খাওয়া উচিত নয়। বদহজম, বমিভাব থেকে শুরু করে ডায়রিয়া, অ্যালার্জি এমনকি শ্বাসকষ্ট পর্যন্ত হতে পারে আম খাওয়ার পর ভুল খাবার খেলে। অতিরিক্ত আম খাওয়া যেমন স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী নয়; ঠিক তেমনই আম খাওয়ার পরে কিছু খাবার খেলে পড়তে পারেন মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকি
তাই রকমারি ফুড নিয়ে এলো মৌসুমি জনপ্রিয় ফল পাহাড়ি ও সাতক্ষীরার আম্রপালি আম। আপনারা,আমাদের আউটলেট অথবা অনলাইন এর মাধ্যমে আম্রপালি আম অর্ডার করতে পারেন।
প্রোডাক্ট ধরণ: আম্রপালি আম
ওজন: ৫, ১০,১৫,২০ কেজি
ওজন: ৫, ১০,১৫,২০ কেজি
Reviews
There are no reviews yet.